বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
স্বরুপকাঠী প্রতিনিধি:জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া শেষ হতে না হতেই আগাম শুরু হয়ে গেছে উপজেলা নির্বাচনী হাওয়া। পরিবেশ ও পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচন নিশ্চিত বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনও আগাম বলে দিয়েছে আগামী মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়। অবশ্য এবারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না কি বিগত নির্বাচনের মত হবে। অবশ্য সব কিছু সরকার প্রধানের উপর নির্ভর করবে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন।
এদিকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হলে পরিবেশ হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। আর দলের প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে সমগ্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি হবে আর এক রকমের স্বাদ। যদিও স্থানীয় রাজনীতিতে বিগত সময়ে দলীয় প্রতীক বরাদ্ধ করায় আওয়ামী লীগ সরকার কম বেশী আলোচিত বা সমালোচিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকার দলীয় বিজ্ঞ নেতারা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে বিগত সময়ের মত দলের প্রতীক বরাদ্ধ দিলে বেশীর ভাগ বিজ্ঞ ও জনপ্রিয় নেতারা হারিয়ে যাবে। স্ব স্ব এলাকায় ত্যাগী নেতারাও অর্থের কারণে ও প্রতীক পায় না। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল বানিজ্যে নেমে পড়ে। কম বেশী জেলার নেতৃবৃন্দসহ এলাকার এমপি মহদয়েরাও অলিখিত বানিজ্যে নেমে পড়ে।
আর যার জলন্ত উদাহরন নেছারাবাদের বিগত উপজেলার নির্বাচন। অভিযোগ উঠেছিল সাবেক এমপি একেএমএ আউয়ালের বিরুদ্ধে।
একক ভাবে মোটা অঙ্কের বানিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তৎকালীন বহু প্রার্থী জাতীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান। অবশ্য এবারের পরিবেশ ভিন্ন। আর তার কারন সুবক্তা, বিশিষ্ট আইনজীবি ও বর্তমান মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিম।
এ ব্যাপারে উপজেলার বিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা মিডিয়াকে জানান, নেছারাবাদে আর কোনদিন সাবেক এমপি আউয়ালের মত নোংড়া ও টাকার নমিনেশনে উপজেলা নির্বাচন হবে না। নেছারাবাদ এলাকার সাধারণ কর্মীরা আনন্দের সহিত জানান, দলের প্রতীক নিয়ে হোক আর প্রতীক ছাড়া হোক। আসলে এবারের উপজেলার নির্বাচন হবে ভিন্ন আঙ্গিকে।
অবশ্য বিগত সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মুইদুল ইসলামের প্রচুর গ্রহন যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় সাবেক এমপি নিজ দলীয় স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তামাশা ও করেছেন। আর মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে ভুল করেননি সাবেক এমপি।
এদিকে এত কিছুর পর এবার হবে মেধার ও জনপ্রিয়তার খেলা। স্থানীয় আওয়ামী লীগে এবারের উপজেলা নির্বাচনে বাঘা দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম শোনা যায়।
একজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মুইদুল ইসলাম। আর একজন স্বরূপকাঠী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এসএম ফুয়াদ। যদিও নেছারাবাদ উপজেলায় জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এসএম মুহিদ বেশ এগিয়ে।
তবে এটাও সত্য এ্যাড. ফুয়াদও হাল ছাড়ার লোক নয়। আসলে সব কিছু আবার নির্ভর করবে স্থানীয় পর্যায়ের দলের ভিতরের কিছু গোপন রাজনীতির দিকনির্দেশনা। আসল কলকাঠী কে নাড়ায় তাও দেখার মূখ্য বিষয়। তবে এত কিছুর পরও হয়তো কে শেষ হাসি হাসবে। আর তারই অপেক্ষায় স্বরূপকাঠীবাসী।
Leave a Reply